সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহন চালুর দাবি

Passenger Voice    |    ০৮:৫১ পিএম, ২০২১-০৪-২৪


সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহন চালুর দাবি

চলমান ‘লকডাউন’ শেষে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করে আগের ভাড়ায় যত সিট তত যাত্রী পদ্ধতিতে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, বিগত দুই দফা ‘লকডাউনের’ পর গণপরিবহন চালু করা হলেও সিংহভাগ গণপরিবহন যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেনি। ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া পরিশোধ করেও অধিকাংশ গণপরিবহনে বাদুড়ঝোলা করে যাত্রী বহন করা হয়েছে।

৯০ শতাংশের বেশি গণপরিবহনে যত সিট তত যাত্রী বহন করে ৬০ শতাংশ বর্ধিত বাস ভাড়া আদায় করলেও সরকার কার্যত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। ফলে এ বর্ধিত গণপরিবহন ভাড়া করোনা সংকটে কর্মহীন, আয়-রোজগারহীন দিশেহারা সাধারণ মানুষের মরার ওপর খড়ার গাঁয়ে পরিণত হয়েছিল।

মোজাম্মেল হক বলেন, এ বাস্তবতায় এবার গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হলে গণপরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণও বেড়ে যাবে। কেননা বাসের ভাড়া বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব শ্রেণির গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ে।

এছাড়াও গণপরিবহনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চালক-হেলপার দু’জনে গণপরিবহন পরিচালনার কারণে এসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি। কেননা চালক গাড়ি চালানো ও হেলপার যাত্রী উঠা-নামা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত থাকায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ যেমন- বাসে উঠতে যাত্রীর হাতে হ্যান্ডসেনিটাইজার দেওয়া, মাস্কবিহীন যাত্রী উঠছে কিনা পর্যবেক্ষণ করা, কিছুক্ষণ পর পর যাত্রী ওঠা-নামার হ্যান্ডেল বা হাতলে স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামার পর খালি সিট স্যানিটাইজ করা, প্রতিটি বাস ছাড়ার আগে সবকটি আসন স্যানিটাইজ করা, যাত্রী নামানোর পর সবকটি আসন পুনরায় স্যানিটাইজ করার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

এ অবস্থায় গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে জাতীয় দুর্যোগ বিবেচনায় নিয়ে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।